মুকুল রায়–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে কথা!‌ তারপর কী ঘটল রাজনীতিতে?‌

একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর হঠাৎ একদিন দেখা যায়, তৃণমূল ভবনে ঢুকছেন একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়। আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। তারপর রাজ্য–রাজনীতিতে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এবার গত রবিবার রাতে মুকুল রায়কে অনেকদিন পর ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। আর তারপরই মুকুলকে দেখা যায তৃণমূল ভবনে পা রাখতে। আবার দেখা গেল, ৮ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশে হাজির থাকতে। তৃণমূল ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‌আমি তো মরিনি, বেঁচে আছি।’‌

বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে?‌ বৃহস্পতিবার মুকুল রায়কে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভাতে দেখা গেল বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজে। তবে সভা শুরুর সময় তিনি মঞ্চের নীচে কিছু নেতাদের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। অনেকের তখন মনে হয়েছিল, মুকুল রায় মঞ্চের নীচে কেন?‌ সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পরে মিলেছে। তবে সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শূন্যস্থান তাঁকে দিয়েই পূরণ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আশা করা যাচ্ছে সেই ছবি দেখা যাবে।

তারপর কী দেখা গেল?‌ মুকুল রায় যখন মঞ্চের নীচে বসে তখন তৃণমূল সুপ্রিমো নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকছেন। মুহূর্তের মধ্যে দেখা যায়, বক্তৃতা দিতে উঠছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই অরূপ বিশ্বাসকে দেখা যায়, মুকুল রায়কে নীচ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন মঞ্চে। গোটা বৃত্তটা তখন সম্পূর্ণ হয়। মুকুল রায় অবশ্য এই সভায় কোনও বক্তব্য রাখেননি। নিজের উপস্থিতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আবার তিনি খেলতে নামছেন। আর তাতেই বেশ চাপে বিরোধী দল বিজেপি।

মুকুল রায়ের উপস্থিতির কারণ কী?‌ সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগানো হবে মুকুল রায়কে। তাই জেলার নেতা–কর্মীদের নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সভায় আসতে বলা হয়েছিল মুকুল রায়কে। রায়সাহেব এসে সরেজমিনে দেখে নিলেন খেলা কেমন করে শুরু করতে হবে। আর মুকুল রায়কে কাছে পেয়ে উজ্জীবিত তৃণমূল কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা। কারণ মুকুল রায়ই জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে বুথ সবটা হাতের তালুর মতো চেনেন। সেখানে মুকুল রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ শুরু করলে বিরোধী দল ভেলকি দেখতে শুরু করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।