৭০ বছর বয়স, শুধু স্নাতক-আলিয়ার VC-র যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হাইকোর্টে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাত চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। যার মধ্যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। কেরলের প্রাক্তন এক আইপিএস অফিসারকে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচার্যের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। এবার রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন এক ছাত্র। তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি। তাছাড়া নবনিযুক্ত উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী। 

আরও পড়ুন: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত প্রাক্তন IPS, বিজ্ঞপ্তি রাজভবনের

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে যিনি মামলা করেছেন তিনি হলেন আলিয়ার প্রথম বর্ষের ছাত্র মিজানুর রহমান। মামলায় তিনি উপাচার্যকে বরখাস্ত এবং নিয়োগের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। গত ১৯ জুলাই কেরল ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার এম ওয়াহাবকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মিজানুরের অভিযোগ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম ওয়াহাবের বয়স ৭০ বছর এবং তিনি আইপিএস অফিসার হলেও তাঁর শিক্ষকতা যোগ্যতা হল স্নাতক। 

মামলাকারীর বক্তব্য, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হল ৬৫ বছর এবং সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগতায় ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি আলিয়ার উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই ছাত্র। তাঁর বক্তব্য, উপাচার্য কম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকায় অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন অধ্যাপক, পিএইচডি এবং ডক্টরেট ডিগ্রিধারীদের কাগজপত্র স্বাক্ষর করার অধিকার তাঁর নেই। 

আগামী মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।  এই মামলায় আচার্য তথা রাজ্যপালকেও যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য নিজেও স্বীকার করেছেন, যে তাঁর বয়স ৭০ বছর এবং তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। তবে তাঁর বক্তব্য, এবিষয়ে হাইকোর্টই সিদ্ধান্ত নেবে।