ভুতুড়ে পড়ুয়া ঘুরছে স্কুলের হাজিরা খাতায়, বাদ যাচ্ছে ১ লাখ নাম…

ভর্তি হয়েছিল এই সব ছাত্ররা। কিন্তু তারপর থেকে তাদের আর কোনও পাত্তা নেই। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১ লাখ। তাদের নাম এবার বাদ যাচ্ছে। সেই ভুতুড়ে পড়ুয়াদের নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে শিক্ষা দফতর। তবে শিক্ষা দফতরের একাংশের মতে, প্রকৃত পড়ুয়াদের সংখ্যা জানতে না পারলে সমস্যা হতে পারে। কারণ সেই সংখ্যার উপরেই তাদের সুবিধাগুলি নির্ভর করছে। 

অনেকেই অভ্যাসবশত দিনের পর দিন আসে না। অনেকে আবার অন্য বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এরপরই শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয় এই ভুতুড়ে পড়য়াদের নাম বাদ দিতে হবে স্কুল থেকে যারা দিনের পর দিন স্কুলে আসছে না। অ্য়াডিশনাল চিফ সেক্রেটারি ( শিক্ষা) কেকে পাঠক এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও স্কুলগুলি পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি টিম পাঠিয়েও পড়ুয়া ও শিক্ষকদের হাজিরার উপর নজর রাখতেন। 

তিনি সাফ জানিয়েছিলেন যারা দিনের পর দিন স্কুলে আসছে না তাদের নাম যেন বাদ দেওয়া হয়। এমনকী তিনদিনের বেশি কেউ যদি বিনা কারণে না জানিয়ে স্কুলে না আসে তবে তার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন। তবে এক্ষেত্রে অন্তত ১৫দিন ধরে তাকে সতর্ক করতে হবে। পরে সেই ছাত্র সাড়া দিলে তাকে আবার ভর্তি নিতে হবে। তবে তাকে হলফনামা দিতে হবে । দফতরে জনসংযোগ আধিকারিক অমিত কুমার জানিয়েছেন, কিছু আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেকে সরকারি স্কুলে নাম লিখিয়ে রাখছে। আর পড়াশোনা করছে অন্য জায়গায়। 

তবে এবারই প্রথম বিহারে এমন হচ্ছে তা নয়। ২০১১-১২ সালেও এরকম ভুয়ো এনরোলমেন্ট হয়েছিল। এরপরই দেখা যায় সেই ভুয়ো পড়ুয়ার সংখ্য়া ক্রমেই বেড়েছে। অপারেশন রেজিস্টার ক্লিনে দেখা গিয়েছিল বহু পড়ুয়া কোনও কারণ ছাড়াই দিনের পর দিন ধরে স্কুলে আসছে না। 

আসলে ২০০৬ সালে সঙ্কল্প কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুল ছুটদের, স্কুলের গন্ডির বাইরে থাকা পড়ুয়াদের স্কুলে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন প্রচুর ভর্তি হয়েছিল। 

এক আধিকারিকের কথায়, কত ভুয়ো পড়ুয়ার নাম রয়েছে সেটা এবার সামনে আসছে। সরকার প্রচুর টাকা দিচ্ছে শিক্ষাখাতে কিন্তু এটা নিয়ে যেন দুর্নীতি না হয়। এবার দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। 

এভাবে ভুয়ো পড়ুয়া থাকলে সাইকেল, মিড-ডে মিল, বই, জামাকাপড় সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যাবে।