‘‌বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর ভূমিকা প্রশংসনীয়’‌, কৌস্তভের মন্তব্যে আলোড়ন

কংগ্রেসের অন্দরে এখন ব্রাত্য নেতা কৌস্তভ বাগচী। কারণ তিনি যে শুধু প্রদেশ কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন এমন নয়। তিনি হাইকমান্ডের বেঁধে দেওয়া লাইনের পর্যন্ত কড়া বিরোধিতা করেছেন। তারপর থেকেই দলের কাজ থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। কারণ এখন মূল লক্ষ্য বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটানো। আর তাই তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। সেখানে কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল কাছাকাছি এসেছে। এটা ভালভাবে নেননি আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। তাই এখন তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে ‘‌ব্রাত্য’‌। আর সেটা বুঝতে পেরেই আজ শুভেন্দু স্তুতিতে মেতে উঠলেন কৌস্তভ।

এই ঘটনার পর থেকে রাজ্য–রাজনীতিতে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি বিজেপিতে যাচ্ছেন কৌস্তভ?‌ সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি কৌস্তভ বাগচী। বরং তাঁর কথায়, ‘‌শুভেন্দু অধিকারী আমার কাছে অচ্ছুৎ নন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা অস্বীকার করার নয়। বিজেপিতে থেকে শুভেন্দু অধিকারী সবটা করতে পারছেন না। তার জন্য একটি বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন। আমাদের সময় একজন বিরোধী দলনেতা ছিলেন। মানুষ জানতই না। এখন বিরোধী দলনেতা কে, সেটা মানুষ জানেন। বিরোধী দলনেতার পারফরমেন্সকে ছোট করে দেখা যাবে না। তৃণমূলকে উৎখাত করার জন্য আমার কাছে শুভেন্দু অচ্ছুৎ নন। ধৈর্য ধরুন, ইন্টারেস্টিং পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে রাজনীতি।’‌

এদিকে ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাতে তৈরি হয় বিতর্ক। ‘‌কলকাতায় চোর, মুম্বইতে সাধু। ফলাফল=‌ ধূপগুড়ি।’‌ এটা লেখার পর থেকেই কংগ্রেস নেতারা তাঁকে এড়িয়ে চলছেন। এবার শুভেন্দু অধিকারীর স্তুতি করে জল্পনা উসকে দিলেন কৌস্তভ। পাটনা, বেঙ্গালুরু অথবা মুম্বই–সহ ‘‌ইন্ডিয়া’‌ জোটের যে কোনও মঞ্চেই, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের একসঙ্গে থাকার তীব্র বিরোধিতা করেছেন কৌস্তভ। সেখানে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী বলেন,‘‌পুকুর এবং নদীর মধ্যে ফারাক আছে। আমার কাছে বাংলা হল পুকুর। আর ভারত হল নদী।’‌

আরও পড়ুন:‌ বরাহনগর পুরসভার ৩২জন কর্মীকে সিবিআই তলব, ‘‌হ্যারাসমেন্ট’‌ দাবি ফিরহাদের

আর কী বলেছেন কৌস্তভ?‌ অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যে স্পষ্ট ইন্ডিয়া জোটের পক্ষেই আছেন তিনি। কিন্তু রাজ্যে বিরোধিতা করছেন। আর কৌস্তভের লাইনে তিনি নেই। তাই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গে বিকল্প রাজনীতির খুব প্রয়োজন। তৃণমূলকে হঠানো যে রাজনীতির মূল লক্ষ্য হবে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত, গণতন্ত্র–হত্যাকারী সরকারের জন্য একটা বিকল্প রাজনীতি দরকার। বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর যে ভূমিকা পালন করছেন, সেটা থাকা উচিত। বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর ভূমিকা প্রশংসনীয়।’‌