‘‌বালু কেমন আছে এখন’‌, দুর্গাপুজোর কার্নিভালের মাঝেই খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আজ, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেফতার করে। তারপর পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানেই বিচারকের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, আদালত থেকে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে কমান্ড হাসপাতালের কথা বিচারক বললেও পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় চলছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। আর তার মধ্যেই মন্ত্রিসভার সহকর্মীর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।

এই আদালতের এজলাসে মন্ত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে ব্যস্ত। রাজ্যের বনমন্ত্রীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খোঁজ নিতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। ঘড়ির কাঁটায় ৬টা ২ মিনিটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম এগিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কানে কিছু কথা বলেন। তখন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ–অরূপ মঞ্চের পিছনের দিকে একটি ঘরে চলে যান। সেখানে গিয়ে ফোন করতে থাকেন। তারপর ওই মঞ্চের পিছনের ঘরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। মঞ্চের পিছনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‌বালু এখন কেমন আছে।’‌ তারপর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। এই আবহে তাঁকে দেওয়া হয় বনমন্ত্রীর শারীরিক খবর। পরিস্থিতি যে জটিল হচ্ছে সেটা বোঝা যায়। কারণ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর আইনজীবী জানান, সুগারের ওষুধ পড়েনি। তাই শরীর খারাপ হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত’‌, বিরোধী দলনেতার খোঁচার জবাব কুণালের

ঠিক কী করলেন কুণাল?‌ অন্যদিকে আজ কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করেন। দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিজেপি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত চিত্রনাট্যে ইডিকে দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করিয়েছে। মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে এই কাজ। বিজেপি দেখতে পাচ্ছে, বাংলায় জমি ক্রমশ হারাচ্ছে। গতকালও কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আজ এখানে দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল। সামনে লক্ষ্মীপুজো। এখন বিজেপি আবারও এজেন্সি পলিটিক্স শুরু করল। রেশনে খারাপ জিনিস দেওয়া হয়েছে, এমন কখনও কোনও অভিযোগ উঠেছে? বিনামূল্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সবাইকে রেশন দেন। সেই রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হল। অথচ সারদা কাণ্ডের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে কি দেখতে পাচ্ছে না ইডি–সিবিআই?’‌