বর্ষবরণের রাতে তিলোত্তমার আকাশে উড়বে ড্রোন, শহরে নামছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ

‌বড়দিনের রাতে জনস্রোতকে সামলে এখন খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই আবার সামনে আসছে চলছে বর্ষবরণ। হাতে আর দু’‌দিন। এখন থেকেই মহানগরীর নানা প্রান্ত সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইয়ে। যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে বর্ষবরণের রাতে। তবে বড়দিনের সময় কলকাতার নগরপাল অর্থাৎ পুলিশ কমিশনারকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বাইকবাহিনীকে রুখতেই হবে। বিনীত গোয়েলের সেই নির্দেশ বর্ষবরণের জন্যও বহাল থাকছে। আর তাই বর্ষবরণের রাতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়তে চলেছে কল্লোলিনী কলকাতা। বর্ষবণের রাতেও তাই জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে লালবাজার। ৩১ ডিসেম্বর কলকাতার রাজপথে মোতায়েন থাকবে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী। নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ২৪০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে শহরের বুকে।

এদিকে নাকা চেকিং চলবে জোরকদমে। পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ষবরণের রাতে বাইকবাহিনীর বিধিভঙ্গ, দাপট বরদাস্ত করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক আইন ভাঙলেই মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৫০টি পয়েন্ট ঠিক করা হয়েছে। যেখানে নাকা চেকিং চলবে। এমনকী স্পেশাল রেইড শাখার পক্ষ থেকেও চলবে অভিযান। বড়দিন থেকেই ভিড় বাড়ছে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে। একই ছবি দেখা যেতে চলেছে বর্ষবরণের দিনেও। কড়া নজরদারি চলবে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশের সংখ্যা সবথেকে বেশি থাকবে এখানেই। ৩১ তারিখ রাত এবং ১ জানুয়ারি পার্ক স্ট্রিটকে ৬টি সেক্টরে ভাগ করা হচ্ছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন ডেপুটি কমিশনার পদ মর্যাদার অফিসার। তাঁদের নেতৃত্বে কাজ করবেন বেশ কিছু ইনস্পেকটর, সাব–ইনস্পেকটররা।

অন্যদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি করা হবে। দ্রষ্টব্য স্থানে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া–সহ অন্যান্য জায়গায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আর রাতে বার, পাব, রেস্তোরাঁর সামনে রাখা হবে বিশেষ পেট্রলিং টিম। বাড়তি পুলিশ বাহিনী রাখা হচ্ছে সর্বত্র। প্রত্যেক জায়গাতেই একজন করে ইনস্পেকটর পদমর্যাদার অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। রাতে নিরাপত্তা দিনের থেকে বাড়ানো হবে। কোনও বেলেল্লাপনা, ইভটিজিং যাতে না ঘটে তার জন্যও একদল পুলিশকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ শুভেন্দুর জেলায় গীতাপাঠের আয়োজন করছে তৃণমূল কংগ্রেস, পাল্টা কবে হবে?

এছাড়া লালবাজারের কড়া নজরদারি চলবে শহরের হোটেল–লজগুলিতেও। কারণ এখানে অপরাধমূলক কাজ ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বাইকবাহিনীকে ঢাল করে শহরের নানা জায়গায় ছিনতাই, মোবাইল চুরি, শ্লীলতাহানি এবং মারপিঠ ঠেকাতে রাতভর চলবে পেট্রোলিং। রাতের আকাশে উড়বে একাধিক ড্রোন। মহিলাদের নিরাপত্তা দেখতে মাঠে নামছে কলকাতা পুলিশের উইনার্স টিম। রোমিওদের ধরতেই মানুষের ভিড়ে মিশে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশও।