পার্থকাণ্ডে ইডির নজরে ব্যাঙ্ক আধিকারিক দম্পতি, দুর্নীতির টাকা সাদা হত কীভাবে?

পার্থ- অর্পিতা কাণ্ডে এবার একের পর এক রহস্য ক্রমশ সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে এই যে বিপুল টাকা তা কি শুধু মাত্র ওয়ার্ডরোবেই রাখা হত? কোথায় কোথায় এই টাকা বিনিয়োগ হত, কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রাখা হত দুর্নীতির টাকা, তা খোঁজ করতে গিয়ে ইডির হাতে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোনের কল ডিটেলস পরীক্ষা করে দেখার সময় ইডির হাতে আসছে নানা তথ্য। সেই তথ্য মিলিয়ে দেখে হতবাক গোয়েন্দারা। দুটি বিশেষ নম্বর দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তারপর দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে সেই নম্বরের অবস্থান। সূত্রের খবর, রাত হলেই সেই দুটি নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ হত প্রাক্তন মন্ত্রীর।

আর খোঁজ নিয়ে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন আসলে এই নম্বরদুটি ব্যাঙ্ক আধিকারিক এক দম্পতির। অভিযোগ, তাঁদের মাধ্যমেই  অ্যাকাউন্ট খোলা হত। পরে অর্পিতাকে এনিয়ে প্রশ্ন করেন ইডি আধিকারিকরা। আর তখনই সব ফাঁস হয়ে যায়।

সূত্রের খবর, পার্থর সঙ্গে ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের অনেক দিনের পরিচয়। তিনি নিজেও অতীতে কর্পোরেট সংস্থায় ছিলেন। সেই নিরিখে এই পথটা তাঁর ভালোই জানা। অভিযোগ সেই ব্যাঙ্ক আধিকারিদের মাধ্যমেই চলত কালো টাকাকে সাদা করার কাজ। একের পর অ্যাকাউন্ট খোলা হত ব্যাঙ্কে। আর সেখানে বিশেষ সহায়তা করতেন ওই দম্পতি। সেক্ষেত্রে তাঁরাও দুপয়সা পেতেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে অন্তত শতাধিক অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্য়াকাউন্টে অত্যন্ত কৌশলে টাকা রাখা হত। সেই অ্যাকাউন্টগুলিরই খোঁজ করছে ইডি।