দেশ গঠনের কাজ করেন তাঁরাও, BRO শ্রমিকদের মৃত্যু হলে মিলবে মর্যাদা, নয়া পলিসি

রাহুল সিং

দুর্গম ভূপ্রকৃতির মধ্য়ে কোথাও রাস্তা, কোথাও বা সেতু কোথাও আবার বাঁধ নির্মাণের কাজ। কার্যত দেশ রক্ষার জন্য় তাঁরা ব্রতী। কিন্তু কাজ করার সময় অনেক সময় মৃত্যু হয় বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনে কর্মরত ঠিকা শ্রমিকদের। তবে মৃত্যুর পরে তাঁদের দেহ গ্রামে আনার জন্য যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা যায় সেব্যাাপারে নির্দেশ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। তাঁদের মৃৃত্যু হলে শেষযাত্রার জন্য় ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করা হবে। সেই সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের এই কাজকে কুর্নিশ জানান তিনি। 

আসলে লাদাখ, অরুণাচল, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশে প্রায় এক লাখ ঠিকা শ্রমিক বিআরওর আওতায় কাজ করেন। রাস্তা, ব্রিজ. টানেল এয়ারফিল্ড, হেলিপ্যাড তৈরির কাজ তারা করেন। অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্য়ে বিআরও কর্মী আধিকারিকদের সঙ্গে তারাও কাজ করেন। মাঝেমধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত হয়।তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে তাঁদের মৃত্যু হলে সেই দেহ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যায় পরিবার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও তাদের থাকে না। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করার মতো পরিস্থিতিও থাকে না। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন কাজের এলাকায় গিয়ে সেই শ্রমিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। এরপরই এনিয়ে তাঁদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য় তিনি নির্দেশ দেন। এরপরই এনিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেমন পোর্টা কেবিন,  বায়ো টয়লেট, বরফ থেকে বাঁচার মতো তাঁবু, শীত পোশাক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা, শিশুদের জন্য পড়াশোনার ব্যবস্থা সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লাল কেল্লায় এবার ৫০জন বিআরও কর্মীকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। 

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সব মিলিয়ে ৯০টি প্রকল্প বিআরও কে দিয়েছিলেন। তার ব্যয় প্রায় ২,৯৪১ কোটি টাকা। তিনি ৬৩টি ব্রিজ, ২২টি রাস্তা, একটা টানেল দুটি এয়ারফিল্ড ও দুটি হেলিপ্যাড জম্মু থেকে উদ্বোধন করেছিলেন।