‘‌তৃণমূলের সবাই চোর নয়’, দুর্নীতির আবহে শাসকদলের ব্যাখ্যায় বিমান বসু

শাসকদলের প্রশ্নের যেন উত্তর মিলল বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন বাস্তব!‌ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‌পার্থ চোর, কেষ্ট চোর, ববি চোর, অভিষেক চোর, মমতাও চোর। সাধু কি শুধু বিজেপি?‌’‌ আর কলেজ স্ট্রিটে এসএফআইয়ের মঞ্চ থেকে বিমান বসুকে বলতে শোনা গেল, ‘তৃণমূলের সবাই চোর নয়’।

কেন এমন মন্তব্য করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান?‌ নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার নিয়ে বারবার রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর মতো সিপিআইএম নেতারা। সেখানে এবার কী হল বিমানের? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, বিমান বসুর এই কথার মধ্যে আসলে ব্যঙ্গ লুকিয়ে রয়েছে।

ঠিক কী বলেছেন বিমান বসু?‌ এদিন ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিমান বসু বলেন, ‘‌অনেক সময় স্লোগান শোনা যায় ওয়ান–টু–থ্রি–ফর তৃণমূলের সবাই চোর। তবে এই কথা সত্য তৃণমূলের সবাই চোর নয়। ওদের পদাধিকারী, ধরুন যাঁর মাথায় অক্সিজেনের অভাব আছে, তিনি একটা জেলার তৃণমূলের সভাপতি। তাঁর আবার আপ্ত সহায়ক আছে। যা অবস্থা এখন আর কেউ মেয়ের নাম সুকন্যা রাখবে না। সুকন্যাকে যদি বাবা কুকন্যা তৈরি করে তাহলে তো সর্বনাশ। শোনা যাচ্ছে সে নাকি পরীক্ষা দেয়নি। কিন্তু শিক্ষকের তালিকায় তাঁর নাম আছে।’‌ বিমান বসুর এই মন্তব্য নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

বিরোধীদের নিয়ে মমতার অবস্থান কী?‌ কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘‌সব রাজনীতিবিদ খারাপ নন। ০.১ শতাংশ খারাপ তো সব জায়গাতেই থাকতে পারেন। তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা কারও খাইও না, কারও পরিও না। আমি সারাজীবন জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। এমনকী আমি একটা মশাও মারতে ভয় পাই। ডেডবডির ছবি দেখি না। রক্ত, হানাহানি আমি দেখতে চাই না। পরিচিত কেউ মারা গেলে দূর থেকে দেখি। অনেক সময় যাইও না।’‌

ছাত্র সমাবেশকে কী বার্তা বিমানের?‌ ছাত্র সমাবেশ থেকে বিমানের বার্তা, ‘‌আমি তো এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। কিন্তু, এত টাকার পাহাড় কখনও দেখিনি। এই ঘটনা ঘটল কী করে? দিনের পর দিন লোয়ার প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগ পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হয়েছেন, মেধা তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন, চাকরি পাননি। তাঁরা রোদে পুড়ছেন, জলে ভিজছেন।’‌