তারাপীঠ থেকে অনেক দূরে কেষ্ট, জেল হাসপাতালের টিভিতে দিনভর খুঁজলেন ‘মা’কে

একেই বলে কপাল। গতবছরেও এই দিনটা একেবারেই এমন ছিল না অনুব্রত মণ্ডলের। বিপদে আপদে, আনন্দে দুঃখে, ভোটের আগে, ভোটের পরে বার বার মা তারার কাছে ফিরে যেতেন কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু এবার সেই অনুব্রতই বন্দি আসানসোল জেলে। গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত তিনি। কৌশিকী অমাবস্যাতেও তারাপীঠ থেকে অনেক দূরে তিনি। আগে এই দিনে তারাপীঠে ভক্তদের স্বাগত জানাতে আগে নেত্রীর পাশেই তার ছবি শোভা পেত। এবার সেসবও নেই। 

তারাপীঠে আজ বিশেষ পুজো। আর এমন দিনে কারাগারের হাসপাতালে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। টিভিতে মা তারার পুজো আয়োজন  দেখেই কপালে হাত ঠেকালেন অনুব্রত। 

তারাপীঠে একাধিকবার অতীতে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলকে। এমন সময়ও ছিল যখন মা তারার সামনে আবেগে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। অনুগামীরা অতীতে এই তারাপীঠেই অনুব্রত মণ্ডলের মঙ্গল কামনায় যজ্ঞের আয়োজন করতেন। কিন্তু সেসব আজ অতীত। 

নেতা বন্দি আসানসোল জেলে। জেল হাসপাতালে বেডে শুয়ে বসেই দিন কাটিয়ে দিলেন তিনি। মাঝেমধ্যে টিভিতে চোখ রাখলেন। কয়েকজন বন্দির সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছেন। কিন্তু মন ভালো নেই একেবারেই। এই সময় তারাপীঠে গিয়ে একবার দেবীর সামনে দাঁড়াবেন সেই সুযোগও নেই।

তবে শুক্রবার সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নেন অনুব্রত। এরপর দেওয়ালে টাঙানো বিভিন্ন ছবিতে প্রণাম করেন। তাঁর নিজের বাড়িতেও রয়েছে তারা মায়ের বড় ছবি। সকালে মুড়ি ছাতু আর দুপুরে ভাত-ডাল, সবজি খেলেন কেষ্ট।

জেল হাসপাতালে থাকার জেরে মাঝেমধ্যে টিভি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। সেখানেই চ্যানেল ঘুরিয়ে একবার দুবার টিভির পর্দায় চোখ রাখেন তিনি। গান, সিনেমার মাঝে বার বারই খুঁজেছেন সেই তারা মাকে। আর তাঁর কথায় ফিরে ফিরে এসেছে কীভাবে এই দিনটাতে অতীতে কাটাতেন তিনি।