প্রয়াত হলেন বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ দিল্লির এইমসেশেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। রাতের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ বিহারের বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বলেন, ‘বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সুশীলকুমার মোদীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বিহারের জন্য এটা অপূরণীয় ক্ষতি।’ তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডারা।
মোদীর শোকবার্তা
মোদী বলেন, ‘দলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী এবং আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুর সুশীল মোদীজির অকাল প্রয়াণের খবরে গভীরভাবে শোকাহত। বিহারে বিজেপির উত্থান এবং বিজেপির সাফল্যের পিছনে তাঁর অমূল্য অবদান আছে। জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে উনি ছাত্র রাজনীতিতে আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন। উনি কঠোর পরিশ্রমী এবং সমাজদরদী বিধায়ক ছিলেন। রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর অসীম জ্ঞান ছিল। প্রশাসক হিসেবেও উনি অনেক প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। জিএসটির পাস হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরকাল স্মরণে থাকবে। এই বেদনার মুহূর্তে তাঁর পরিবার এবং অনুগামীদের সমবেদনা জানাচ্ছি। ওম শান্তি।’
শাহের শোকবার্তা
শাহ বলেন, ‘আমাদের বর্ষীয়ান নেতা সুশীলকুমার মোদীজির প্রয়াণের খবর অত্যন্ত দুঃখিত। রাজনীতির এক মহান পুরোধাকে চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলল বিহার। এবিভিপি থেকে শুরু করে বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। উনি যে রাজনীতি করতেন, তা গরিব এবং অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের প্রতি সমর্পিত ছিল।’
সুশীলকুমার মোদীর রাজনৈতিক কেরিয়ার
১) ১৯৭৪ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বাধীন ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে উঠে এসেছিলেন। আশির দশকে বিজেপিতে ক্রমশ উত্থান হতে শুরু হয়েছিল। ১৯৯০ সালে পাটনা সেন্ট্রাল আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সাল এবং ২০০০ সালে ফের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সুশীল।
২) বিরোধী নেতা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সুশীল। লালুপ্রসাদ যাদবের তুমুল সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে তিনি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেছিলেন।
৩) ২০০৫ সালে যখন জেডিইউ এবং বিজেপি জোট ক্ষমতায় এসেছিল, তখন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।