কুণাল ঘোষকে ‘সেন্সর’ করল তৃণমূল কংগ্রেস, পার্থকে লাগামহীন আক্রমণের জের

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন ইডি হেফাজতে। প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন তিনি। কিন্তু ইডি হেফাজতে যাওয়ার আগে থেকে তাঁকে আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেছেন তিনি। এবার দলের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন কুণাল ঘোষ। দলীয় সূত্রে খবর, দলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছে। পার্থ ইস্যুতে তাঁকে মুখে লাগাম টানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ?‌ এই পার্থ ইস্যুতে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে একটি শব্দও খরচ করতে রাজি হননি কুণাল ঘোষ। এমনকী সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে একটি শব্দও বলব না আমি। দলের মুখপাত্র বা সদস্য হিসেবে নয়, একদম ব্যক্তিগতভাবে আমি মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু আজ একটি শব্দও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলব না। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি, ওঁর সম্পর্কে আমার কোনও বক্তব্য নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না।’

কী কী বলেছিলেন কুণাল ঘোষ?‌ একবার তিনি বলেছিলেন, ব্রাত্য বসুর আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি। যাঁর আমলে হয়েছে তিনি জবাব দেবেন। অবিলম্বে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে ঢুকে দেখুন কেমন লাগে। এছাড়া তিনি বলেছিলেন, ‘‌আমি বন্দিজীবন কাটিয়েছি। আমি চক্রান্তের কথা বলায় তখন এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাকে পাগল বলেছিলেন। অপরাধ করিনি বলায় আমাকে দলবিরোধী বলেছিলেন। এখন দেখুন কেমন লাগে।’‌

উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষের মন্তব্যে দল অস্বস্তিতে পড়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তাঁকে স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছিলেন। তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়ার মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করেছিলেন। যদিও অবশেষে সেই পথে হেঁটেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরও কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা যায়, ‘‌উনি আজকে বলছেন, এটা ওঁর টাকা নয়। বলছেন, এটা চক্রান্ত, কখনও বলছেন, সময় এলে বোঝা যাবে। কখনও তিনি বলবেন, আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিনা আমি নিজেই জানি না। কোনওদিন বলবেন আমি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চিনি না।’ এইসব মন্তব্যের জেরে এবার কুণালকে মুখে লাগাম টানার নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস।