President Election: হোটেল থেকে বেরোলেন বিজেপি বিধায়করা, বাসে করে বিধানসভার পথে

অবশেষে হোটেল বন্দি থেকে মুক্তি পেলেন বিজেপি বিধায়করা। ক্রস–ভোটিং ঠেকাতে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের হোটেল বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কারণ আজ, সোমবার দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাই বিধানসভায় আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। গণনা ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ–বিধায়ক মিলে মোট ভোটার ২৫৪। বিধায়কদের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েকজন মন্ত্রীকে। লোকসভার সাংসদদের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় সুখেন্দুশেখর রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির হাতে রয়েছে ৭০ জন বিধায়ক এবং কার্যত ১৬ জন সাংসদ। তাঁরা রবিবার নিউটাউনের হোটেলে ছিলেন। আজ, সোমবার নিউটাউনের হোটেল থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাস।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক?‌ এই নির্বাচনের বিষয়ে বিরোধী দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর জয় নিশ্চিত। বিজেপির সব ভোটই তাঁর পক্ষে যাওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বিধায়কদের ভোট দিতে যেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই হোটেলে রাখা এবং নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তাহলে বিধায়কদের হোটেল বন্দি কেন?‌ সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলায় দলবদলুরা কাকে ভোট দেয় সেটা দেখার বিষয়। আর ক্রস ভোটিংয়ের একটা আশঙ্কা থাকছে। তা থেকেই এই ছক কষা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন গোপন ব্যালটে হয়। তাই কে কাকে ভোট দিলেন বোঝার উপায় নেই। গণনার পরে প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে বোঝা যেতে পারে সব ঠিকঠাক আছে কিনা। বিজেপিতে কয়েকজন বিধায়ক আছেন যাঁরা বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। তাই আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিজেপির প্রতীকে জিতে কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন। সুতরাং তাঁরা এনডিএ পদপ্রার্থীকে ভোট দেবেন না বলেই খবর। আবার এখনও যাঁরা বিজেপিতে আছেন তাঁদের মধ্যে কেউ যদি বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দেন তাহলে সেটা বঙ্গ–বিজেপির কাছে চরম লজ্জার। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপি নিজেদের ঘর সামলাক। আর তাতেই চিন্তা বেড়েছে বিজেপির।