রাতের অন্ধকারে নিউটাউনে শুটআউট, ব্যবসায়ীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি

এবার গুলি চলার ঘটনা ঘটল মহানগরীতে। নিউটাউনে ইকো পার্কের সামনে এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম নাসিরউদ্দিন খান। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ যুবক নাসিরউদ্দিন খানের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ওখানে বিধাননগরের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এমনকী যান নিউটাউন জোনের ডিসি মানব সিংলা। শনিবার রাতে নিউটাউনে চলে গুলি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যুবক নাসিরউদ্দিন খানের। মোটরবাইকে চড়ে এসে দু’জন দুষ্কৃতী গুলি চালায়। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাসিরউদ্দিন।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত যুবক ভাঙড়ের বাসিন্দা। তাঁর ইটের ব্যবসা। রাতে ইকো পার্ক থেকে ফিরছিলেন। তখন তাঁর উপর হামলা হয়। দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে এসে নাসিরউদ্দিনের উপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা আগে ছুটে আসেন। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গুলি চালানোর পরই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের বয়ান নিয়েছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি।

আরও পড়ুন:‌ ইসহাকের মরদেহ ভারত থেকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে, উদ্যোগী মেঘালয় সরকার

অন্যদিকে কেন এই হামলা হল?‌ উঠেছে প্রশ্ন। কারা হামলা চালালো জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ অনুমান করছে, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে যুবকের বুকে গুলি করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, রাতে ইকো পার্কের ওই এলাকায় এমনিতেই লোকজন কম থাকেন। জায়গাটিও খুব সুরক্ষিত নয়। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। নিউটাউনের ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা সেটা জানা যায়নি। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কিনা, যারা গুলি চালিয়েছে তারা পূর্ব পরিচিত কিনা, এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান সংগ্রহ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। কেন নাসিরউদ্দিনের উপর হামলা হল সেটাও দেখা হচ্ছে। মোটরবাইকে করে দু’‌জন আততায়ী চায়ের দোকানের সামনে আসে। তারপর সেখান থেকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয় যুবকের বুকে। তারপর এলাকা থেকে চম্পট দেয় আততায়ীরা। দু’‌জন ছিল এই ঘটনার সময়। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই খুনের ঘটনায় সুপারি কিলার ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।