বাংলাটা ঠিক আসে না?তৃণমূলের চার এমপি শপথ নিলেন ইংরেজিতে, সেনাপতি লিখলেন জয় বাংলা

সংসদে শপথ বাক্য পাঠ করলেন তৃণমূলের ২৬জন এমপি। ৪২এর মধ্যে ২৯টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। তবে এদিন শপথ নিয়েছেন ২৬জন এমপি।  আর শপথবাক্য পাঠ শেষ করে এক্স হ্যান্ডেলে সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, আমি সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়েছি। …শেষে লিখেছেন জয় হিন্দ, বন্দেমারম, জয় বাংলা। 

তবে অভিষেক নিজে বাংলায় শপথবাক্য পাঠ করেছেন। কিন্তু তাঁর টিমের আরও অন্তত পাঁচজন বাংলা ভাষাকে এড়িয়ে গেলেন। গোটা তৃণমূল যখন জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়, গোটা বাংলায় যখন বার বার ওঠে বাংলা বিরোধীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ, সেই বাংলা থেকে দিল্লিতে শপথ নিতে গিয়ে বাংলায় শপথ নিলেন না বাংলাপ্রেমী তৃণমূলের অন্তত পাঁচ এমপি। 

দমদমের এমপি সৌগত রায়। শপথ নিলেন ইংরেজিতে। গড়গড়িয়ে অন্য সময় বাংলা বলেন তিনি। কিন্তু শপথের সময় বাংলাকে এড়িয়ে গেলেন। মেদিনীপুর থেকে জয়ী হয়েছেন জুন মালিয়া। তিনিও শপথ নিলেন তবে ইংরেজিতে। উলুবেড়িয়ার সাজদা আহমেদ ও জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল ইংরেজিতেই শপথ নিয়েছেন। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের কালীপদ সোরেন সাঁওতালি ভাষাতেই শপথ বাক্যপাঠ করেন। প্রতিমা কেবলমাত্র নন। তবে বাকিরা শপথ শেষে মমতা ও অভিষেকের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছেন। কীর্তি আজাদ বললেন, জয় বাংলা, জয় মিথিলা, জয় ভারত। 

আর শপথবাক্য পাঠ করেই একেবারে সংস্কৃত ভাষায় চন্ডীস্তোত্র পাঠ করা শুরু করে দেন শ্রীরামপুরের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

তবে মহুয়া কোন ভাষায় শপথ নেন সেদিকে আগ্রহ ছিল অনেকেরই। কিন্তু দেখা গেল মহুয়া মৈত্র শপথ নিয়েছেন বাংলা ভাষাতেই। মহুয়া শপথ নিতেই প্রচুর হাততালিও পড়ে এদিন। সায়নী শপথ শেষে বললেন জয় যাদবপুর। শতাব্দী বললেন, বীরভূমের জয় হোক। 

তবে এদিন বাংলা থেকে জয়ী বেশিরভাগ পুরুষ সাংসদই পাজামা পাঞ্জাবি পরেছিলেন। তবে অভিষেক পরেছিলেন সেই চিরাচরিত সাদা জামা। ইউসুফ পাঠান শপথ নিয়েছেন ঈশ্বরের নামে। তবে সাজদা, আবু তাহেররা আল্লার নামেই শপথ নিয়েছেন। তবে তৃণমূল আগেই বলেছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কার্যত এদিন সাংসদে ছিল একেবারে উৎসবের মেজাজ। 

তবে তমলুক থেকে জয়ী বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় অবশ্য় বাংলাতেই শপথ নিয়েছেন। কিন্তু সৌগত রায় কিংবা জুন মালিয়ারা কার্যত বাংলাকে এড়িয়ে ইংরেজিতে শপথ নিলেন। বাঙালি বেশভূষা কিন্তু শপথ নেওয়ার সময় বাংলাটা ঠিক এল না!