‘‌বর্বরোচিত কাজ করেছে সিপিএম–বিজেপি’‌, আরজি কর হাসপাতালের তাণ্ডবে সরব পার্থ

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে। সেই আন্দোলনের মাঝেই মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলা হয়ে গেল। আর এই ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনের ছবি প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। এই হামলার নেপথ্যে সিপিএম–বিজেপি যোগ রয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে তিনি জানান, যারা ভাঙচুর করেছে তাদের মৃতা চিকিৎসকের প্রতি কোনও সহমর্মিতা নেই। তারা মৃত্যুকে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।

আজ, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাটে আসেন পার্থ ভৌমিক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পরে রাজ্যপাল আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতীর হামলা নিয়ে কিছু বলেননি। তবে এই হামলার ঘটনায় সিপিএম–বিজেপি যুক্ত বলে অভিযোগ করলেন সাংসদ। মাঝরাতে তুমুল হামলা–তাণ্ডব নেমে আসে আরজি কর হাসপাতালে। চলে মারধর। বাদ গেল না কেউ। চিকিৎসক থেকে পুলিশ প্রহৃত হলেন। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পুলিশকে অ্যাকশন নিতে বললেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কড়া ভাষায় বিঁধলেন সাংসদ পার্থ।

আরও পড়ুন:‌ আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে দলবিরোধী মন্তব্য, মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হল শান্তনুকে

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, হাসপাতালের চারতলায় ফুসফুস এবং চেস্ট বিভাগের যে সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই দাবির প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই সেমিনার রুম ‘সম্পূর্ণ অক্ষত’ আছে। আর এই হামলার ঘটনা নিয়ে সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‌গরিব মানুষের চিকিৎসা হয় এই হাসপাতালে। সেখানে ভাঙচুর, ডাক্তারদের হেনস্থা করা অত্যন্ত বাজে কাজ। যারা এই বর্বরোচিত কাজ করেছে সেই সিপিএম–বিজেপিকে আমি ধিক্কার জানাই। যার নেতৃত্বে যারা আছে তারা সকলেই পরিচিত সিপিএম–বিজেপির মুখ। মৃত্যুর প্রতি ওদের কোনও সহমর্মিতা নেই। মৃত্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে।’‌

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক নাইট ডিউটি করছিলেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়েন সেমিনার হলে। যেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনা নিয়ে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই–এর ঝান্ডা নিয়ে হামলা করছে কয়েকজন যুবক। যদিও এই ভিডিয়ো’‌র সত্যতা যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে এই আবহে বিজেপি–সিপিএমকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।