পুজোর ভিড়ে সবাইকে ছাপিয়ে গেল কালীঘাট মেট্রো, কম যায় না দমদম, শোভাবাজারও

কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে অনেকের কাছেই বড় ভরসা কলকাতা মেট্রো। উত্তর থেকে দক্ষিণে মেট্রোতে চেপেই চলছে ঠাকুর দেখা। তবে সেই মহালয়া থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এবারের পুজোতে কলকাতা মেট্রোতে কার্যত জনপ্লাবন হতে পারে। আর সপ্তমী আর অষ্টমীর রাতে যে ছবি দেখা গেল তা এককথায় অভূতপূর্ব। একেবারে গিজ গিজ করছে কালো মাথার ভিড়। কেউ প্রেমিকার হাত ধরে, কেউ আবার মাকে নিয়ে ঠাকুর দেখাতে বেরিয়েছেন। কেউ পরিবারের সঙ্গে কেউ আবার বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন।

তবে ভিড়ের নিরিখে কোন স্টেশন এগিয়ে গেল সবথেকে? সূত্রের খবর, এবার ভিড়ের নিরিখে সবাইকে ছাপিয়ে গেল কালীঘাট মেট্রো স্টেশন। একেবারে তিলধারণের জায়গা নেই কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে। সপ্তমী থেকেই নবমী পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো সারারাত ধরে চলছে। আর সেখানে ভিড় একেবারে চোখে পড়ার মতো। পুজোর কয়েকদিন মেট্রোর আয়ও বাড়ল অনেকটাই।

এবার কোন স্টেশনে কত ভিড় হল সেটা দেখে নিন। সপ্তমীতে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে যাতায়াত করেছে ৮১,১৯৮জন। দমদমে যাত্রী ছিল ৬৯১০৬জন, শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে ৫৪৩৪৬জন, রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে যাত্রী ছিল ৪৪ হাজারের থেকে কিছুটা বেশি। অফিসযাত্রীদের ভিড় নয়, এই ভিড় ঠাকুর দেখার ভিড়।

তবে সারারাত মেট্রো চললেও মেট্রোর যাতায়াতের সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেই যা অবস্থা একেবারে হাজার হাজার ভিড়। সিংহভাগই ঠাকুর দেখার ভিড়।

এদিকে পুজোর মতো মেগা ইভেন্টে মেট্রোর নিরাপত্তায় যাতে কোনও খুঁত না থাকে সেজন্য প্রয়োজনাীয় ব্য়বস্থা করা হয়েছে। মহিলা, শিশুদের, বৃদ্ধদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। টিকিট কাটার লাইনে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। কুইক রেসপন্স টিমকেও তৈরি রাখা হয়েছে। মূলত উৎসবমুখর যাত্রীদের ভিড়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে।

আসলে মেট্রো স্টেশন থেকে নেমে হেঁটে একাধিক বিগ বাজেটের পুজো দেখা যাচ্ছে। সেকারণেই ভিড় একেবারে মাত্রাছাড়া। সকলেই চাইছেন যানজট এড়িয়ে অন্তত কমসময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে। কারণ রাস্তা ধরে যেতে গেলে গাড়ি আটকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যতম বিকল্প ভরসা হল কলকাতা মেট্রো।