ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষের নিয়োগ বাতিল করল রাজ্য সরকার

চতুর্মুখি চাপে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। গত ১২ অগাস্ট সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যদিও ইস্তফা গ্রহণ না করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন – ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ

পড়তে থাকুন – আরজি করে খুনের পরে সঞ্জয়ের ফোন এক পুলিশকে? বারাকে গিয়ে ঘুম, সিবিআইয়ের নজরে এএসআই, প্রশ্ন শুনেই ছুট!

 

সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা নিয়ে গত কয়েকদিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে দিয়েছে। কেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সন্দীপের ইস্তফা প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকার সেই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের এত খাতির কেন? সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে সরকারের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে সেই প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয় সেদিন বেলা ৩টের মধ্যে সন্দীপ ঘোষ লম্বা ছুটিতে না গেলে আদালত তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে। একই সঙ্গে আদালত সন্দীপ ঘোষের ন্যাশনাল মেডিক্যাল বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ বা তার সমতুল বা তার থেকে উঁচু পদে কার্যভার গ্রহণে অনির্দিষ্টকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সব শেষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, ইস্তফার পরই কী করে সন্দীপ ঘোষকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল?

এত প্রশ্নের মধ্যে বুধবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে সন্দীপ ঘোষের নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে। স্বাস্থ্যসচিব জানান, ডাক্তারির ছাত্রদের সেই দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন – ‘‌পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখন জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে’‌, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল

বলে রাখি, গত ১২ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সেখানকার পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরদিন বিক্ষোভকারীদের বোঝাতে যান হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা ও মন্ত্রী জাভেদ খান। সেখানে গিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। সন্দীপ ঘোষকে ফের অধ্যক্ষপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেও। প্রশ্ন তুলেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারসহ একাধিক তৃণমূল নেতা।