ভোট মিটতেই বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনের তদন্তে ফের সক্রিয় হল সিআইডি। ফের নিহত সাংসদের দেহাংশের খোঁজে বাগজোলা খালে শুরু হল তল্লাশি। এবার তল্লাশিতে ভারতীয় নৌসেনার সাহাজ্য নিয়েছে সিআইডি। তবে নতুন করে কোনও সাফল্য এখনও পায়নি তারা।
আরও পড়ুন – শালবনিতে হচ্ছে না লৌহ – ইস্পাত কারখানা, জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
পড়তে থাকুন – ছাপ্পা ভোট পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতার দলের নেতা, ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের
সোমবার ভাঙড়ে কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেখানো জায়গায় তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। নৌসেনার বিশেষ নৌকা ও সেন্সর ব্যবহার করে খালের তলদেশে খোঁজা হয় দেহাংশ। সাতুলিয়া ও কৃষ্ণমাটি গ্রামে বাগজোলা খালে দিনভর চলে তল্লাশি। তবে এদিন নতুন করে কোনও সূত্র পাননি তদন্তকারীরা।
গত ১৩ মে কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারউল আজিম। বাংলাদেশে কুখ্যাত সোনা, মাদক ও অস্ত্র পাচারকারী হিসাবে কুখ্যাত ছিলেন তিনি। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বাল্যবন্ধ আখতাউজ্জামানের বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জলাশয়ে ফেলে দেয় খুনিরা। এর পর কলকাতা ছেড়ে পালায় অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে ভাঙড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে। আদপে বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা ওই যুবক বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। ৫০০০ টাকার বিনিময়ে আনোয়ারের দেহ টুকরো টুকরো করে সে।
আরও পড়ুন – মন্ত্রিত্বের শর্তেই TMCর সাথে সেটিং? ভাঙড়ে নওসাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
গত ২৮ মে সঞ্জীব গার্ডেনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মাংস ও চুল উদ্ধার হয়। অনুমান করা হচ্ছে সেই চুল ও মাংস আনোয়ারুলের। দেহাংশ ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে পুলিশ। ওদিকে দেহাংশ তাঁর বাবারই কি না পরীক্ষার জন্য DNA নমুনা দিনে সোমবারই ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন আনোয়ারুলের মেয়ে ফিরদৌস ডরিন।