আলটপকা মন্তব্য নয়, অখিল গিরি বিতর্কে বিধায়কদের সতর্ক করল তৃণমূল

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই বিধায়কদের আলটপকা মন্তব্যে যাতে বিরোধীরা হাতে তাস পেয়ে না যায় তার জন্য তাঁদের সতর্ক করল তৃণমূল। এমনিতেই রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। তাঁর মন্তব্যের জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। তাই বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সুব্রত বক্সি সমস্ত বিধায়কদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, দলীয় বিধায়কদের বলে দেওয়া হয়েছে, প্রকাশ্য সভায়, সাংবাদমাধ্যমের কাছে দুম করে আলটপকা মন্তব্য করা যাবে না। সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। ব্যক্তিগত মত প্রাকশ্যে বলা যাবে না। কারণ, এতে বিরোধী সুযোগ পেয়ে যাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গরম গরম’ কথা বলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে না।

পাশাপাশি বিধানসভায় বিধায়কদের নিয়মিত আসার বলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক বিধায়ক বিধানসভায় আসেন না। এলেও সই করে চলে যান। তা যেন না হয়, সে ব্যাপারে বৈঠকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।

এই বৈঠকের ঠিক আগেই শাসক দলের বিধায়ক ইদ্রিস আলি বিধানসভার বিরোধীদের আচরণ নিয়ে মন্তব্য় করতে গিয়ে বলেছেন, ‘ক্ষমতা থাকলে জিভ টেনে ছিঁড়ে নিতাম।’ তার ঠিক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা সজল দাস বিরোধীদের স্ট্রেচারে করে বাড়ি পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ গত কয়েকদিন যাবদ এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত আছেন। তবে আগে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দাঁত-দাড়ি উপড়ে নেওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অখিল গিরি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্তব্য করলেও তা আঘাত দিয়েছে একটি সম্প্রদায়কে। যা ভোটের আগে শাসকদলের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর। মন্তব্যের পরই পথে নামেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়। সামনের বছর পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। তার আগে যাতে এ ধরনের মন্তব্যের জেরে বিরোধীরা সুযোগ পেয়ে না যায়, তাই পরিষদীয় বৈঠকে বিধায়কদের সতর্ক করে দেওয়া হল।