ব্রিটেনে অভিবাসনের খাঁড়া ঝুলছে ভারতীয় পড়ুয়াদের ওপরও! সুনক সরকার কোন পথে?

ব্রিটেনের দায়িত্ব গ্রহণ করেই ঋষি সুনক জানিয়েছিলেন দেশের সমস্যাগুলিতে যথা সম্ভব কাটানোর চেষ্টা করবেন তিনি। সেই দিক থেকে এবার অভিবাসন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জকে পার করার চেষ্টায় ঋষি সুনক। এক সদ্য প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনে অভিবাসন কমানোর দিকে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সুনক সরকার। সেই দিক থেকে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের ব্রিটেনে আগমনে পড়তে পারে কোপ। আর সেই কোপের আওতায় বিদেশী হিসাবে ভারতীয় পড়ুয়ারাও থাকতে পারেন।

১০ ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্রকে উল্লেখ করে রিপোর্ট দাবি করছে, ‘নিম্নমানের’ ডিগ্রি নিয়ে আসা বিদেশী পড়ুয়ারা ব্রিটেনের দফতরগুলিতে কাজ করছেন, সঙ্গে আনছেন তাঁদের পরিবারকে, যাঁরা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল, এই গোটা বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে সুনক সরকার। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছে ব্রিটেনে আগত বিদেশী পড়ুয়াদের ওপর। তবে ‘নিম্নমানের’ ডিগ্রি বলতে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ঠিক কী বলতে চায়, তা স্পষ্ট করা হয়নি। প্রসঙ্গত, সেদেশের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স পরিসংখ্যানে সদ্য চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, কার্যত ভয়াবহ আকারে বেড়ে গিয়েছে সেদেশের অভিবাসন সংক্রান্ত সংখ্য়া। বহু পরিযায়ী ক্রমেই ভিড় জমাচ্ছেন ব্রিটেনে। ২০২১ সালে যেখানে ইউকেতে অভিবাসন সংক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১৭৩,০০০ সেখানে ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৫০৪০০০। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে ব্রিটেনে। দেখা যাচ্ছে, চিনের পড়ুয়াদের সংখ্যা ছাপিয়ে ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা সেখানে ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট ভিসায় ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের অভিবাসন ব্রিটেনকে বেশ উদ্বিগ্ন করেছে।

সুনকে মুখপাত্র বলছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এই অভিবাসনের সংখ্যা নামিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর। উল্লেখ্য, দেশে যখন প্রবল আর্থিক সংকট দেখা দিতে শুরু করেছিল, সেই সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন ঋষি সুনক। জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে তিনি বদ্ধ পরিকর। এদিকে, অভিবাসন সংক্রান্ত ইস্যু ব্রিটেনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের থেকে বেশি চার্জ নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে তারা কম আমদানি করছে ব্রিটেনের পড়ুয়াদের থেকে। এই নিরিখে তারা আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের নজর কাড়তে চায় ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এই পরিস্থিতিতে যদি সুনক সরকার কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে তা দেউলিয়ার পর্যায়ে ফেলে দেবে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।