পূর্ব ভারতে প্রথম যোগ ও নেচারোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ‘যোগশ্রী’ চালু হল শুক্রবার থেকে। এদিন হাওড়ার বেলুড় হাসপাতালটির উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই হাসপাতালে যোগা ও নেচারপ্যাথির মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ চিকিৎসা হবে।
হাসপাতাল উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের অনেক আর্থিক প্রতিকূলতা থাকলেও উন্নয়নে কোনও ঘাটতি রাখা হচ্ছে না। সে কারণে এই ধরনের হাসপাতালের উদ্বোধন হয়।’
এই ধরনের হাসপাতালের কার্যকারীতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বেলুড়ের এই হাসপাতাল যোগ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যম সারা দেশ নয় বিশ্বকে পথ দেখাবে।’
পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের এই হাসপাতালে বর্তমানে রয়েছে ১২০টি শয্যা। এর মধ্যে পুরুষদের ৬০টি এবং মহিলাদের জন্য ৬০টি। ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা হোস্টেলও রয়েছে। ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতালটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী মিলিয়ে ১০১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিট উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমান ৪৬ জন পড়ুয়া এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মোট আসন সংখ্যা ৫০। উদ্বোধনের পর থেকেই হাসপাতালে পঠন-পাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে।
(পড়তে পারেন। NRS–এ রোগীর পরিবারকে কাটা পা ধরোনো কাণ্ডে রিপোর্ট চাইল স্বাস্থ্য ভবনের)
৪ বছরের কোর্সের মাধ্যমে ‘ব্যাচেলার অফ নেচারোপ্যাথি ও যোগা সায়েন্সের ডিগ্রি’ অর্জন করবেন পড়ুয়ারা। এ ছাড়া থাকছে ১ বছরের ইন্টার্নশিপের সুযোগ।
২০১৯ সালের ২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রকৃতিক পদ্ধতিতে এখানে চিকিৎসা হবে। রোগীরা হাসপাতালে থেকেও চিকিৎসা করাতে পারবেন। যোগা ও সূর্যের আলো, মাটি, বাতাসের মাধ্যমে চিকিৎসা হবে এখানে। একই সঙ্গে এখানে ওজোনথেরাপিও। ’
এদিন তিনি কেন্দ্রকে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যোগকে যাঁরা রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন। তাঁরা দেখবেন কী ভাবে নেচাোপ্যাথি এবং যোগার মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে রোগ নিরাময় সম্ভব। ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অন্যান্যরা।